অরিত্রির মৃত্যু, শুধুই আত্মহত্যা
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর মৃত্যু নিছকই আত্মহত্যা, নাকি নেপথ্যে অন্য কারো দায় আছে? এমন প্রশ্ন তুলে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, এর আগে আরও অনেক গভর্নিং বডির সদস্য ছিল, প্রিন্সিপাল-ভাইস প্রিন্সিপাল ছিল। কিন্তু তাদের আমলে এভাবে কোনো শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেনি। অরিত্রী অধিকারী কেন আত্মহত্যা করেছে?
আত্মহত্যায় প্ররোচনা, শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অপমান ও পরীক্ষার খাতায় কম নাম্বার দেয়ার হুমকির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ভেঙে দেয়াসহ প্রিন্সিপাল-ভাইস প্রিন্সিপালের অপসারণ দাবি করেছেন তারা। এজন্য বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকেও তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
দশম শ্রেণির ছাত্রী সুহানা বলছিলেন, মোবাইলের মাধ্যমে নকল করার অভিযোগে অরিত্রিকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়। পরের দিন অরিত্রির বাবা-মাকে প্রতিষ্ঠানে ডেকে পাঠানো হয়। মা-বাবাকে অপমান করা হয় অরিত্রির সামনেই। এরপর অরিত্রি সহ্য করতে না পেরে বেরিয়ে যায়। বাইরে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে ছিল অরিত্রি। ভেতরে অরিত্রি দেখতে পায় তার বাবা শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরেছেন। এরপর কান্না করতে করতে বাড়ি চলে যায় সে। দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে অরিত্রী।